শিরোনাম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : | ০২:০৯ পিএম, ২০২০-১১-২৪
তাহের আহমেদ মজুমদার,অসম( ভারত) :
অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনে মৃত্যুরকোলে ডলে পড়লেন। ভারতে উত্তরপূর্বে অসমের পরপর তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী তথা সংগ্রামী নেতা তরুন গগৈ। সোমবার সন্ধা ৫ টা ৩৪ মিনিটে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে তাঁর দেহবসান ঘটে। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যুতে গোটা রাজ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। গত দু’দিন ধরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা মারাত্মক ভাবে অবনতি ঘটে। উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ কোভিডে আক্রান্ত হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। দু’মাস পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। কিন্তু, কোভিড পরবর্তী শারীরিক সমস্যার কারণে তাঁকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।কোভিড পরবর্তী জটিলতা দেখা দিলে ২ নভেম্বর ফের গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ভর্তির পর প্রথমে নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে পরবর্তীতে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। এর আগে করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় শরীরে অক্সিজেন-মাত্রা কমায় কোভিড আক্রান্ত তরুণ গগৈয়ের প্লাজমা থেরাপিও করেছিলেন চিকিত্সকেরা। এতে ভালো ফলও দিয়েছিল। ২১ নভেম্বর শনিবার দুপুর থেকেই তরুণ গগৈয়ের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। প্রবল শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয়।২০০১ থেকে ২০১৬-টানা ১৫ বছর অসমের মুখ্যমন্ত্রীত্বে থাকা তরুণ গগৈয়ের জন্ম ১৯৩৪-এর সালের ১১ অক্টোবর। রাজ্যের তিনটি নির্বাচনী জয়ে দলের নেতৃত্বে থাকা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের এই নেতা ২৬ নং রঙ্গযান নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয় থেকে স্কুলের পাঠ শেষ করেন। ১৯৬৩-তে অসমের গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৭২-এর ৩০ জুলাই তিনি বিয়ে করেন ডলি গগৈ-কে। তাঁদের এক ছেলে এক মেয়ে গৌরব গগৈ ও চন্দ্রিমা গগৈ। ১৯৬৮ সালে যোড়হাট পুরসভা বোর্ডের সদস্য হিসাবে গগৈয়ের রাজনৈতিক কর্মজীবনের শুরু। ১৯৭১ সালে, ইন্দিরা গান্ধির শাসনকালে তিনি পঞ্চম লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন। ২০০১ সালে অসম বিধানসভা নির্বাচনে তিতাবার কেন্দ্র থেকে জিতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। ২০১৬-য় বিজেপির কাছে কংগ্রেস পরাজিত হলে মুখ্যমন্ত্রীত্বের কুর্সি হারান তিনি। ৬টি লোকসভার সাংসদ তরুণ ১৯৭১ থেকে ৮৫ সাল পর্যন্ত যোড়হাট নির্বাচনী কেন্দ্রের প্রতিনিধি ছিলেন। পরে কলিয়াবোর কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন ১৯৯১ ও ১৯৯৮ সালে।
যোড়হাট নাজিরআলি এলাকার প্রয়াত কমলেশ্বর গগৈ ও ঊষা গগৈর সন্তান প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গগৈ রাজনীতির পাশাপাশি বই পড়তে, বাগান করতে ভালোবাসতেন। ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিসেও সমান আগ্রহী ছিলেন তিনি। খেলতেন গলফও। এছাড়াও, অল অসম মইনা পারিজাত ও শিশু সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ এবং ভারত যুবক সমাজের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। অসম কংগ্রেসের এক কান্ডারী হিসেবে পরিচিত তরুণ গগৈ এর মৃত্যুতে গোটা রাজ্য জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : : ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ওয়েস্ট আজারবাইজান প্রদেশে বুধবার (৫ অক্টোবর) ৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : : পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জাপানের ওপর দিয়ে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোর...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : : চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ বছর নোবেল পদক জিতে নিয়েছেন সুইডেনের বিজ্ঞানী সাভান্তে পাবো। সোমবার নোবেল কমিট...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : : ইউক্রেনকে প্রথমবারের মতো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। জার্মানির প্রত...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : : আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারে ডলারের বিপরীতে চীনের ইউয়ানের রেকর্ড দরপতন হয়েছে। ২০১১ সালে আন্তর্...বিস্তারিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : : ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামার নাম নেই। বরং এটি আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ঘোষণা ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik amader Chattagram | Developed By Muktodhara Technology Limited